মেজর সিনহা হত্যা: ৩ জন এপিবিএন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে-র‌্যাব

মেজর সিনহা হত্যা: ৩ জন এপিবিএন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে-র‌্যাব



মেজর সিনহা হত্যা মামলা

সেচ্ছায় অবসর গ্রহণকৃত  সেনাবাহিনীর  মেজর  সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় RAB গতকাল সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।
তারা হলেন-

সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ শাহজাহান,
কনস্টেবল রাজিব  এবং
মোঃ আবদুল্লাহ। 



তারা সবাই এপিবিএন -১৬ এর সদস্য ছিল।
র‌্যাবের পরিচালক (আইনী ও গণমাধ্যম শাখা) লেঃ কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মেজর (অবঃ) সিনহা যে স্থানের নিহত হয়েছিল তার কিছু গজ দূরে শামলাপুর চৌকিতে তারা ডিউটিতে ছিলেন।



তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গেছে এবং তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে আশিক জানান।

কারাগারের সুপার মোজাম্মেল হোসেন জানান, হত্যার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) RAB-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি RAB দল তাদেরকে কক্সবাজার কারাগার থেকে পেলেন।


প্রথমে তাদের মেডিকেল চেকআপের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এবং পরে  RAB-১৫ office অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় বলে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
RAB  ১৭ আগস্ট,২০২০ ইং এপিবিএন এর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিলেন।



RAB-এর কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম জানান, সার্ভিস রুল অনুযায়ী ১৮ আগস্ট,২০২০ ইং এই তিনজন এপিবিএন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।



এদিকে ঐ মামলার তিন প্রধান আসামীকে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে নেওয়া হয়েছিল, যেখানে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল।

দুপুর ১ টার দিকে র‌্যাব -১৫ অফিস থেকে কড়া নজরদারি করে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপ-পরিদর্শক নন্দাদুলাল রাখীশ -কে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন নিয়ে যায়।



মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম, আইনী ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেঃ কর্নেল আশিক বিল্লাহ, গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেঃ কর্নেল মোঃ সরোয়ার-বিন-কাসেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার রাত বারোটার দিকে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, "মামলার প্রধান আসামিকে তদন্তের অংশ হিসাবে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।"

তবে এ পর্যন্ত তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে এডিজি বলেছিলেন যে এ জাতীয় তথ্য প্রকাশ করা তদন্তকে বাধা দিতে পারে।



তিনি বলেন, “আমরা যে দুই মিনিটের মধ্যেই শুটিং হয়েছিল তার প্রতি সেকেন্ডে বিশ্লেষণ করছি,” তিনি আরও যোগ করেন, তদন্তটি এমনভাবে করা হবে যাতে দোষীদের বাঁচানো যায় না এবং কোনও নিরীহ লোককে ক্ষতিগ্রস্থ করা না যায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন