Pic-Titanic information of sank |
Welcome to Channel-N bangla, Today's news entertainment episode.
হ্যালো বন্ধুরা, টাইটানিক সুবিশাল জাহাজের নাম শুনেনি এমন ব্যক্তি পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
জেমস ক্যামেরুনের টাইটানিক সিনেমার কথা বললে আর তো কারো জানার বাকী থাকেনা।
টাইটানিক সিনেমাটি দেখে কাঁদে নি এমন লোক হয়তো পৃথিবীর বুকে কমই আছে।
তো বন্ধুরা আজকের ইপিসোডে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি, তা হলো-টাইটানিক জাহাজ ডুবার আসল হহস্য! সত্যি কি টাইটানিক ডুবেছে, না অলিম্পিক ডুবেছে?
তো আলোচনা শুরু করা যাক।
আজ থেকে ১০৮ বছর আগে অর্থাৎ ১৯১২ ইং সালে ১৫ এপ্রিল আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে এক ছোট বরফ খন্ড বা স্তুপের সাথে ধাক্কা লেগে টাইটানিক জাহাজটি ডুবে যায়, আমরা সবাই তাই জানি।
এতে লোক মারা যায় ১৫১৭ জন।
বন্ধুরা টাইটানিক জাহাজ ডুবার আসল রহস্য সম্পর্কে কয়েক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে উল্লেখ করলাম, যা পড়ে আপনারাই কমেন্ট বক্সে বলবেন যে টাইটানিক ডুবেছে না অলিম্পিক ডুবেছে? জানাবেন কিন্তু।
"হোয়াইট স্টার লাইন" নামক এক জাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এই সুবৃহৎ টাইটানিক জাহাজটি তৈরি করেছিলেন। তার পুর্বে ঐ কোম্পানি 'অলিম্পিক ' নামক একটি জাহাজ তৈরি করেছিলেন।
ঐ কোম্পানি জানেন যে কোন জাহাজের গুনাগুন কেমন।
যাইহোক টাইটানিক জাহাজের ডিজাইনার থামাস এন্ড্রিউ বলেছিলেন যে, একটা সোলা বা তুলার পিন্ড পানিতে ডুবতে পারে, কিন্তু এই সুবিশাল টাইটানিক জাহাজটি পানিতে ডুববেনা।
তাছাড়া থামাস এন্ড্রিউ বলেছেন যে টাইটানিক জাহাজটি এমনভাবে তৈরি করা হয়, এতে এক বিন্দু পানি ঢুকার ব্যবস্থা নেই। এর কম্পার্টমেন্ট এমনভাবে তৈরি করা হয়, যার পানির গতি প্রতিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে।
জানালা-দরজা গুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে একটু পানি ঢুকার আশ্বাস পেলে তা ক্যাপ্টেন অটো লক করে দিতে পারে। যদি জাহাজটি সম্পুর্ন উল্টেও যায়, তবু ভিতরে পানি প্রবেশ করতে পারবেনা।
কারন কম্পার্টমেন্টগুলো এলুমিনিয়াম পাত দ্বারা তৈরি।
তাঁরা বলতেন যে টাইটানিক জাহাজ ডুবেনি।এটা একপ্রকার ষড়যন্ত্র মাত্র।
বিশ্বের ইতিহাসে এরকম জাহাজ ডুবার ঘটনা ঘটেনি।
এ সম্পর্কে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রবিন গার্নার তার লেখা বইয়ে লিখেছেন যে টাইটানিক জাহাজ কোনদিন ডুবতে পারে না।
তিনি বলেন যে, ঐ জাহাজে বেঁচে যাওয়া কিছু যাত্রীর মুখেই শুনেছি, জাহাজ ডুবার আসল কাহিনী।
ঐ যাত্রীরা তাঁকে বলেছিল যে জাহাজটি ডুবেছে, তার মনোগ্রাম ও লোগো টাইটানিকের মতো নয়।এটা দেখতে অলিম্পিকের মতো।
টাইটানিক জাহাজে ছিল একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী জেবি মার্গান। উনি নিয়মিত মালামাল আনা নেওয়া করতো ঐ জাহাজে।
জাহাজটি ডোবার পর তিনি বললেন আমার কয়েক টন সোনা খোয়া গেছে বা ডুবে গেছে।
এই সোনা খোঁজার জন্য উনি কিছু ডুবুরিকে নিযুক্ত করছিলেন। কিন্তু কোন ফল হয়নি।
কারণ এটা ছিল মার্গানের সাজানো নাটক।
নাটক কেন বলবো- কারণ উনার বীমা করা ছিল, সেই বীমার ঝুকির টাকা আদায়ের জন্য এটা নাটক ছিল।
পরে প্রমাণিত হয়েছে এবং বীমা অংকের টাকাও পান নি।
তাছাড়া ১৯১৩ সালে অর্থাৎ টাইটানিক জাহাজ ডুবার একবছর পর অলিম্পিক জাহাজটি যখন রেজিষ্ট্রেশন নবায়ন করেন, তখন এর ওজন হয় ৪৬,৩২৮ টন যা টাইটানিক জাহাজের ওজনের সমান।
অথচ অলিম্পিক জাহাজের গতবছর রেজিষ্ট্রেশনে ওজন ছিল ৪৫,৩২৪ টন।
একই কোম্পানি দুটি জাহাজ তৈরি করেছিলেন প্রথমটি অলিম্পিক ও দ্বিতীয়টি টাইটানিক।
একইদিনে দুটি জাহাজ আটলান্টিক মহাসাগরে যাত্রা শুরু করে।
টাইটানিক জাহাজে অনেক প্রটেক্ট ব্যবস্থা ছিল।
পক্ষান্তরে অলিম্পিক জাহাজটি অনেকটাই দুর্বল ছিল।যা ডোবা সম্ভাবনা অনেক বেশী ছিল।
বন্ধুরা উপরের তথ্যানুযায়ী আপনাদের বুঝার হয়তো আর বাকী নেই যে কোন জাহাজটি ডুবেছে-টাইটানিক নাকি অলিম্পিক।
কে কি বুঝলেন কমেন্ট বক্সে জানাবেন। কেমন?
সবাইকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।।
কে কি বুঝলেন কমেন্ট বক্সে জানাবেন। কেমন?
সবাইকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন