ছবি-করোনা পরিস্থিতি |
৩১ মে অফিস-আদালত,যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দেওয়ার পর সরকার সবকিছু পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে দেখবে। যদি দেখা যায় যে, করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে না, তখন আবার সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হবে।
এবার শুধু ছুটিই নয়, লকডাউন সম্পর্কে জোর নির্দেশনা আসবে।
যা মানুষের সব ধরণের চলাচল ও গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গত ৩০ মে, ২০২০ ইং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ বিষযটি নিশ্চিত করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গনবভনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলাম, করোনা মোকাবেলা সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃশহিদুল্লাহ, সদস্য অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা।
ঐ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে দশ দফা নির্দেশনা দিয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, আমরা সবকিছু খুলে দিয়েছি, তার মানে এই না যে সবকিছু এইভাবে চলতে থাকবে।
তিনি বলেন, যদি পরিস্থিতি খারাপ হয়, জনস্বাস্থ্যের জন্য যদি নতুন করে হুমকি সৃষ্টি হয়,তাহলে অবশ্যই আবার লকডাউন দেওয়া হবে এবং সেই ব্যবস্থা সরকার যেকোন সময় নিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, আগে যে সাধারণ ছুটি দেওয়া হয়েছিল, সেই ছুটিতে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি এবং যেভাবে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার দরকার ছিল,সে ব্যাপারে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব ছিল।
প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে দশ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বৈঠকসূত্রে জানা গেছে।
সবকিছু খুলে দেওয়ার পর এই দশ দফা নির্দেশনা পালনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যে দশটি নির্দেশনা দিয়েছেন হলো-
১. স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবেঃ-
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যে নির্দেশনা পূর্বে দেয়া আছে, তা সঠিকভাবে সবাইকে পালন করতে হবে।মাস্ক ব্যবহার করা, এন্টিসেফটিক দিয়ে হাতমুখ পরিষ্কার করাসহ মেনে চলা।
২. সভা-সমাবেশ, জমায়েত হবে নাঃ-
একত্রে হযে কোন অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ হওয়া যাবে না।এমন কোন অনুষ্ঠান করা যাবেনা যেখানে লোক সমাগম হয়।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবেঃ-
দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে যতদিন নতুন নির্দশনা না দেয়া হয়।
৪. অযথা পরীক্ষা নয়ঃ-
করোনাভাইরাসের অযথা কোন নমুনা টেস্ট করা যাবেনা। যদি লক্ষণ ও উপসর্গ যদি করোনাভাইরাসের মতো বোঝা যায়, সেক্ষেত্রে করা পরীক্ষা করা যাবে।
৫. গণপরিবহন মনিটরিং করতে হবেঃ-
দেশের গনপরিবহন গুলো মনিটরিং করতে হবে যে কি অবস্থায় চলছে।
৬. গবেষণা বাড়াতে হবেঃ
করোনা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য গবেষণা উপর জোর দিতে হবে।
৭. নিয়মিত পরিস্থিতি মনিটরিং করতে হবেঃ-
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
৮. হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে হবেঃ-
হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে হবে,যাতে সেখানে প্রচুর জন সমাগম না হয়।
৯. সচেতনতা বাড়াতে হবেঃ-
দেশের গ্রামাঞ্চলসহ সবত্র গণ সচেতনতা বাগাতে হবে, যাতে সবাই শতর্ক হতে পারে।
১০. বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবসা বন্ধ করতে হবেঃ- দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলো বেশি টাকা
আদায়সহ রোগিদের হয়রানী করে। এগুলো বন্ধ করতে
হবে।সরকার বেসরকারি হাসপাতালের জন্য আর্থিক অনুদান দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই নির্দশনা আসবে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাধ্যমে জানা যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন