ছবি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |
দেশের করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে ঘোষিত ১৮টি প্যাকেজের সঙ্গে আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেন।
এবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে গত দুই মাসের স্থগিত সুদের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।
এ ব্যাপারে গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু দীর্ঘদিন সবকিছু বন্ধ ছিল। এখন আমরা আস্তে আস্তে সবকিছু উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।
অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। যেহেতু তাদের ব্যবসা চালাতে পারেননি সেখানে ঋণভারে যাতে জর্জরিত না হয়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি।
এরই মধ্যে আমরা ১ লাখ কোটি (১ লাখ ১১১৭ কোটি টাকা) টাকার ওপরে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি,
যেটা আমাদের জিডিপির ৩ দশমিক ৬ ভাগ। এতো প্রণোদনা পৃথিবীর অন্যকোন দেশে দিয়েছে কিনা আমরা জানি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে আমরা ১৮টি প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এখন অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে
আমরা আরেকটা প্যাকেজ ঘোষণা করছি।
সেটা হলো, যেহেতু ২ মাসে সুদ স্থগিত করা ছিল,
এখানে সুদের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। এই সুদের মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি দেবে।
যা আনুমানিক হারে ঋণগ্রহীতাদের আর পরিশোধ করতে হবে না। তাদেরকে এইটুকু আমরা মুক্ত করে দিচ্ছি।
আর সুদে যে অবশিষ্ট অর্থ সেটা ১২ মাসিক কিস্তিতে ঋণগৃহীতারা বাণিজ্যিক ব্যাংকে পরিশোধ করবে।
অর্থ্যাৎ যেটা প্রতি মাসে দিতে হতো, এটা এই দুইমাসে যেহেতু দিতে পারেনি, তাই আমরা ১২ মাসের একটা সময় দিয়ে দিচ্ছি।
এতে ধীরে ধীরে তারা বাকিটা শোধ করতে পারবে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর সরকার এই ২ হাজার কোটি
টাকা ভর্তুকি প্রদানের ফলে আনুমানিক ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ঋণ গৃহীতা যারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তারা সরাসরি উপকৃত হবেন।
তারা উপকার পাবেন, কারণ করোনার কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ ছিল। কাজেই সেই কারণে এই সুযোগটা আমরা তাদের দিয়ে দিচ্ছি।
যাতে তারা তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চালাতে পারে।
তিনি বলেন, এই ২ হাজার কোটি টাকাসহ সরকার ঘোষিত ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজের মোট পরিমাণ দাঁড়াল ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
আমি জানি না, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এভাবে দিয়েছে কিনা।
কিন্তু আমরা সেভাবে এই সুযোগটা দিচ্ছি। এর বাইরেও আমরা কওমী মাদ্রাসা ও মসজিদে বিভিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন