ছবি-বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া |
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ও দেশে-বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে আবেদন করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার প্যারোলে বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।
এ সংক্রান্ত আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে জমা দেয়া হয়েছে।
আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার সেই আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
আবেদনপত্রে বলা হয়, করোনাকালীন দুর্যোগে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি।
পাশাপাশি তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য শারীরিক অসুস্থতায় কোনো পরীক্ষাও করা সম্ভব হয়নি।
বিএনপি পক্ষ থেকে বিশ্বাস করে যে সরকার তাদের এ ব্যপারে অনুরোধ গ্রহণ করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, "প্রার্থনা শেষে তার (খালেদা জিয়া) মুক্তি সম্পর্কে মতামত চেয়ে আইন মন্ত্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।"
শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে দাখিল করা দোয়া আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ রয়েছে।
পদক্ষেপগুলি শেষ হলে অবশেষে তার অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রার্থনা পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেছেন, সরকার চাইলে তাকে ক্ষমা করতে পারে।
তবে দুদকের আইনজীবিরা বলেছেন যে আদালতের আদেশ ব্যতিরেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সরকারের কোন এখতিয়ার নেই।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত কর্তৃক ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ইং খালেদা জিয়া তাকে পাঁচ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করার পরে তাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল।
২৫ শে মার্চ, খালেদা তার বয়স এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
সরকার তার দু'টি শর্তে মুক্তির কার্যনির্বাহী আদেশ জারি করেছিল।
তার গুলশানের বাসায় থাকায় চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশ ছাড়েনা।
তবে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার ছয় মাস পরের ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ইং শেষ হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন