করোনা ভাইরাস |
২০২০ ইং সালের দু'একটি আলোচনা, যা অনেক মকনুষেই ভুলতে পারবেন না বা ভুলতে পারছি না। এই সালর প্রধান আলো বিষয় হলো-কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথা, যা না বললেই নয়।
অক্টোবর, ২০১৯ চীনের হুন্দাই প্রদেশের পশুর দামী চামড়া বিক্রির বাজারে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
পর্যায়ক্রমে এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে,যুক্তরাজ্য, ইরান,ভারত,বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে।
করোনা ভাইরাসের জন্য সারা পৃথিবীতে একটা আতংকের সৃষ্টি হয়।
পুর্ব ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায় যে প্রতি একশত বছর পর পর পৃথিবীতে এই রকম মহামারী দেখা দেয়।
১৭২০ সালে প্লেগ,
১৮২০ সালে কলেরা,
১৯২০ সালে স্পেনিস ফ্লু
এবং
২০২০ সালে করোনা ভাইরাস।
প্রতিটি মহামারীতে পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ লোকের জীবন হানী ঘটেছে। সেই রকম করোনা ভাইরাসে অনেক লোকের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে এই ভাইরাস বিদ্যমান রয়েছে।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তের দিক দিয়ে বিশ্বের দেশগুলির স্থান(০৪/০১/২০২১ ইং তারিখে)ঃ-
দ্বিতীয় স্থান-ভারত
তৃতীয় স্থান-ব্রাজিল
চতুর্থ স্থানে রয়েছে -ফ্রান্স।
এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে-
দ্বিতীয়তে-পাকিস্তান
এবং
তৃতীয় অবস্থান রয়েছে-বাংলাদেশ।
২০২০ সাল বহুল আলোচিত শব্দঃ-
কোভিড-১৯,
করোনা ভাইরাস,
মাক্স,
লক-ডাউন,
হোম-কোয়ানেস্ট,
হাত-মুখ ধোয়া,
করোনা পরিস্থিতি,
করোনা কালীন,
করোনা ভাইরাস টিকা,
করোনার চিকিৎসা।
মাক্স ব্যবহার |
২০২০ সালে দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অবস্থাঃ-
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের জন্য দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা একদম নির্জীব অবস্থা।
পড়ালেখার চাপ নেই,বাসা থেকে বাহির হওয়া নেই। শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে বসে মোবাইল চালানো আর টিভি দেখানো ছাড়া পড়া লেখার ধারের কাছে পৌছে না তাঁরা।
ফলে শিক্ষার্থীদের মেধা ও জ্ঞান দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে কুলে উঠতে পারবে কি না, তা বুঝা মুসকিল।
কোভিড-১৯ এ স্কুল |
তাছাড়া ২০২১ সাল জানুয়ারি ১ তারিখে বই বিতরণ হওয়ার কথা থাকলেও, তা সম্ভব হয়নি।
শুধু প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা বই পেয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের শুধু সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বই দেয়া হয় ২ ও ৩ জানুয়ারিতে।
প্রতিবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে বই বিতরণের ধুমধাম শুরু হয় জানুয়ারীর ১ তারিখে। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভম হয়নি।
করোনার কারণে পিএসসি,জেএসসি,এইচএসসি পরীক্ষা না হয়ে, পুর্ব ফলাফল দেখে অটো ফলাফল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এইচএসসি অটো পাস ফলাফল ডিসেম্বরের মধ্যে ঘোষণা করার কথা,কিন্তু কই সে ফলাফল। আর এই ফলাফল কবে যে হবে,তা আল্লাহই ভালো জানেন।
এহেন অবস্থায় দেশ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে কি যে হবে, তা ধারণা করাই যায় না।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও চাকুরির পরীক্ষা গুলো নেয়া হচ্ছে না করোনার কারনে। দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
অনেক চাকুরি প্রার্থীদের সরকারি চাকুরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং তাদের দুঃচিন্তার শেষ নেই। বেকারত্ব জীবন কি তাঁরা হাড়ে হাড়ে বুঝতেছে।
তাছাড়া করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য,কৃষিসহ অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা চলছে। যেকোন বাজার মুল্য নিয়ন্ত্রণের বাহিরে।
কৃষকদের উৎপাদিত পন্যের মুল্য বা দাম কম। পক্ষান্তরে কেমিক্যাল বা যান্ত্রিক উৎপাদিত পন্যের দাম অনেক চড়া। যা ভুক্তভোগীদের সহ্যসীমার বাহিরে চলে গেছে।
বর্তমান দেশের শহরাঞ্চলের মতো গ্রামীনজনগোষ্ঠীর মানুষ রান্না-বান্নার ক্ষেত্রে গ্যাসের ব্যবহার অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারনে গ্যাসের একটি সিলিন্ডার খুচরা মুল্য ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা করা হয়। যা সাধারণ মানুষের সহনশীলতান বাহিরে চলে যায়।
কথায় বলে যে ২০২০ সাল,বিষের সাল,বিষ বা করোনা ভাইরাস ছড়ার সাল বা বছর। এহেন পরিস্থিতি কবে যে স্বাভাবিক হবে? সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলবে সেই আগের মতো-এই প্রতিক্ষায় থাকার পালা।
যাই হোক ২০২১ সাল সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ ও সুখ ও সমৃদ্ধ জীবন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন