আবারো লকডাউন |
গতকাল রবিবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হল না বাংলাদেশের লকডাউন।আরও বাড়ানো হল মেয়াদ... করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ১০ দিনের জন্য বাড়ল লকডাউন বিধিনিষেধ।
বাংলাদেশের করোনার কারণে এবং একে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় তারপরেও এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় এই বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দিল বাংলাদেশ সরকার।
ইতিপুর্বে যে বিধিনিষেধ জারি করা হয় তা গতকাল রবিবারই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মহামারি করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসার জন্যে চলমান বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানো হচ্ছে বলে রবিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল বাংলাদেশ সরকার।
এতে হয়েছে, যে সব বিধিনিষেধ আছে তা ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেই এই নির্দেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ হাজার ৮৩৯ জনে।
এই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৬ জন। এই সংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশে ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মার্চের শেষের দিকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়।
নানা রকম সতর্কতা দেওয়া হলেও অনেকেই তা মানেন নি। দেশের করোনা বেড়ে যাওয়ার জন্য লোকজনের অসতর্কতাও দায়ী বলেও মনে করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দেশের মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসচেতনতা না এলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা অসম্ভব।’
করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরে, মার্চের শুরু থেকে প্রথমে গণপরিবহন এবং অফিস চালু রেখে লকডাউন চালু করা হয়।
পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। পরে ৬ দফা লকডাউন বা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গত ২৩ মে থেকে ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আরও একটি নির্দেশ জারি করা হয়।
তাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ আর ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো আসন সংখ্যার অর্ধেক মানুষকে বসতে দিয়ে খোলার অনুমতি লাভ করে। বর্তমানে সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত অফিস, আদালত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
তবে অত্যাবশকীয় পণ্যের দোকান নির্ধারিত সময়ের জন্য খোলা থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধিনিষেধ বাড়ানো অথবা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সরকার ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে।
এ সম্পর্কিত আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন