বাম্পার ফলনের জন্য ভুট্টা চাষ করবেন |
বাম্পার ফলনের জন্য ভুট্টা চাষ করবেন। নটায় এখনো আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি খাদ্যশস্য। যারা চাহিদার সমগ্র বাংলাদেশের বিশাল।
এতে স্বল্প পরিশ্রম ও অল্প খরচে প্রচুর ফলন পাওয়া যায়।
ভূমিকা
ভুট্টা 🌽 একটি শর্করা জাতীয় খাদ্যশস্য যা জেলা কমবেশি চাষ করা হয়।
পছন্দ ভূট্টা ৫০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন রকম চাষাবাদ করে।
চাষাবাদ
ভুট্টা চাষের বাম্পার ফলন পেতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করতে হবে-
1.শক্তিশালী ও উন্নত মানের বীজ সংগ্রহ।
2.ভূমি নির্বাচন।
3.মাটি তৈরি ।
4.মাটিতে নালা তৈরি।
5.বীজ বপন।
6.সেচ এবং আগাছা দমন।
7.সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ ।
8.ফসল কাটা।
1.শক্তিশালী ও উন্নত মানের বীজ সংগ্রহ
ভুট্টার বাম্পার ফলন পাওয়ার প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল ভাল মানের বীজ এবং ভাল মানের বীজ।
ছবিতে ভূট্টা |
শক্তিশালী ও উন্নত মানের বীজ ছাড়া বাম্পার ফলন আশা করা যায় না। তাই আমাদের শক্তিশালী ও উন্নত মানের বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
2.ভূমি নির্বাচন
এটি বাম্পার ভুট্টার দ্বিতীয় শর্ত 🌽। এর জন্য বাম্পার ভুট্টা ফলনের জন্য আমাদের একটি উচ্চ মানের সমতল দোআঁশ মাটি নির্বাচন করতে হবে।
3.মাটি তৈরি
ভুট্টার বাম্পার ফলনের জন্য তৃতীয় শর্ত হলো মাটি তৈরি করা সম্ভব হবে।
ছবিতে মাটি তৈরি |
মাটি তৈরির জন্য নিম্নোক্ত উপকরণগুলো পরিমাণে জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে।
প্রতি শতাংশ জমি-
উপকরণ | গুণমান
-----------|---------------
গোবর | 5 কেজি
টিএসপি | 250 গ্রাম
এমপি|250 গ্রাম
ইউরিয়া | 300 গ্রাম
উপরের উপাদানটি মাটিতে সমানভাবে স্প্রে করতে হবে।
তারপর লাঙ্গল দিয়ে 5 থেকে 6 বার জমি চাষ করতে হবে, তারপর লেভেলার দিয়ে 3 থেকে 4 মই দিতে হবে। তারপর মাটি তৈরি করতে হবে।
4.মাটিতে নালা তৈরি।
মাটি প্রস্তুত হয়ে গেলে, আমরা একটি লাঙ্গল দিয়ে প্রতি ছয় ইঞ্চি পরপর নালা টানতে হবে, জমির রেখা ঢেউয়ের মতো হওয়া উচিত।
5.বীজ বপন
লাইন সঠিকভাবে নালা টানার পর লাইনের মূল অংশ থেকে একটি ভুট্টার বীজ বপন করতে হবে।
এক এক করে দু আঙুল দিয়ে পুঁতে দেবো মাটির নিচে ভূট্টার দানাগুলো বা বীজগুলো।
ছবিতে ভূট্টার বীজ বা দানা |
সাধারণত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে জমিতে ভুট্টার বীজ বপন করা হয়।
6.সেচ ও আগাছা
জমিতে বীজ বপনের এক থেকে দেড় মাস পর কয়েকটি চারা অঙ্কুরিত হবে 1 থেকে 1.5 ফুট উঁচু হলে আমি ভুট্টার জমিতে সেচ দেব।
7.সার এবং কীটনাশক প্রয়োগ
ভুট্টার ক্ষেতে ভুট্টার চারা যখন একটু বড় হয় । তখন ভূট্টা গাছের তেজ একটু কমিয়ে আসে।
তখন আমরা ভুট্টাক্ষেতে নিম্নলিখিত সারগুলো পরিমাণমতো ছিটিয়ে দেব।
প্রতি শতাংশ জমি
ইউরিয়া | 200 গ্রাম
---------|----------------
এমপি|100 গ্রাম
টিএসপি | 100 গ্রাম
সমস্ত সার মিশিয়ে পুরো জমিতে সমানভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে তারপর আবার সামান্য সেচ দিতে হবে।
8.ফসল কাটা
সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে ভুট্টার ফসল পাকে এবং ভুট্টা ঘরে তোলার সময় হয়।
ভুট্টা পেকে লাল হয়ে গেলে একে বলা হয় কলার ভুট্টা।
প্রতি গাছে ৪ থেকে ৫টি কলা জন্মে আমরা কলার ভুট্টা তুলবভু ।ভূট্টার কলা ঘর থেকে বের করে রোদে শুকাতে হবে।
তারপর ভুট্টা কলাগুলো মেশিনে ডলে কলা থেকে দানা গুলো আলাদা করব।
তারপর রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে পারি বা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারি।
উপসংহার
শেষ পর্যন্ত, এটি একটি উপকারী ফসল। যাতে প্রচুর শর্করা এবং ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের দেশের জমি গুলোতে প্রচুর ফসল ফলানো যায় এবং অল্প পরিশ্রমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন