কাকতাড়ুয়া বা স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশের কৃষিতে অনন্য এবং ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা পালন করেছে

কাকতাড়ুয়া বা স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশের কৃষিতে অনন্য এবং ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা পালন করেছে

 

কাকতাড়ুয়া কৃষিতে অনন্য এবং ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা পালন করেছে

            কাকতাড়ুয়া বা স্কেয়ারক্রো ধানক্ষেতে



কাকতাড়ুয়া বা স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশের কৃষিতে অনন্য এবং ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ একটি প্রধান কৃষিপ্রধান দেশ।  এ কৃষির প্রধান ফসল ধান।  বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ধানের জন্য বিখ্যাত।



 এই কৌশলগুলি প্রচুর শস্য উত্পাদন করতে বিভিন্ন ধরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

 সেই কৌশলে স্কয়ারক্রোর ব্যবহার একটি বিশেষ কৌশল।



 [কাকতাড়ুয়া বা স্কেয়ারক্রো কী]


 স্ক্যারক্রো হল একটি মডেল যা মানুষের মতো আকৃতির, যা মাঠ থেকে কাক, পশু এবং পাখিদের তাড়াতে ব্যবহৃত হয়।



 এই স্ক্যারক্রোকে কোনো মাঠে রাখলে কোনো প্রকার পশু-পাখির দ্বারা ফসলের ক্ষতি হবে না।




 [কীভাবে স্ক্যারক্রো তৈরি করা হয়]


 একটি বাঁশের খুঁটি 5/6 ফুট লম্বা এবং আরেকটি 3/4 ফুট বাঁশের বাতা বা বাঁশের টুকরো।


 জমির মাঠের মাঝখানে লম্বা খুঁটিটি শক্তভাবে স্থাপন করতে হবে বা মাটিতে পুঁতে দিতে হবে যাতে এটি বাতাসে পড়ে না যায়।


 আমি বড় বাঁশের খুঁটিটি এমনভাবে রাখব যাতে খুঁটিটি মাঠের 3/4 ফুট উপরে থাকে।





কৃষিতে অনন্য এবং ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা পালন করেছে
ধানক্ষেত





  আমি অন্য বা ছোট বাঁশের খুঁটিটি বড় খুঁটির 6/7 ইঞ্চি নীচে বাঁশের একটি ছোট টুকরো সুতা বা দড়ি দিয়ে এমনভাবে বেঁধে রাখব যাতে এটি ইংরেজি ছোট হাতের অক্ষর টি বা যিশুর ট্রাঙ্কের আকারের মতো হয়।


 এখন আমি পুরোনো কালো বা লাল ফুল হাতা শার্ট বা ভেস্ট পরব যে বাড়িতে আছে.

 ঘরের ওপরে পড়ে থাকা লম্বা খুঁটির ওপরে কালো মাটির পাত্র বা হাড়ি বা পাতিল ঢুকিয়ে সেই পাত্রে  চুন দিয়ে  মানুষের মতো চোখ,কান,নাক, মুখ এঁকে দিতে হবে।




 তারপর শার্টের এক হাতে একটি লাল ফিতা ঝুলিয়ে রাখুন এবং অন্য হাতে দুটি (1 × 1) ফুট টিনের টুকরো সুতলি দিয়ে বেঁধে দিন।

 তারপর পুরোদস্তুর কাক হয়ে গেল।  ফটোগ্রাফ তাকান.



 [ উপকারিতা]


 পাখিদের ধান ক্ষেতে ধান খাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য সাধারণত কাকদের ধান ক্ষেতে খাওয়ানো হয়।


 মানুষের মতো এই মূর্তি দেখে পশুরা ভয়ে পালিয়ে যায়।  ফলে ধানের ক্ষতি হয় না।


 কাক তাড়ানোর জন্য একে কাকতাড়ুয়া বা স্কয়ারক্রো বলা হয়।



 তাছাড়া কাকের হাতে থাকা টিনের টুকরো বাতাসে আওয়াজ করে এবং এর ফলে বিশেষ করে বাবুই পাখিরা ভয়ে পালিয়ে যায়।


কাকতাড়ুয়া বাংলাদেশের কৃষিতে অনন্য এবং ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা পালন করেছে

কাকতাড়ুয়া বা স্কেয়ারক্রো




ফিঙ্গে বসে ধানক্ষেতের পোকামাকড় খায়, এতে ক্ষেতের পোকামাকড় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


 বাবুই পাখিরা অনেক পাকা ধান খায়, তাদের হাত থেকে বাঁচতে এই কাকতাড়ুয়া।



 [অপকারিতা]


 এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এতে কোন ক্ষতি নেই।  তবে ছোট বাচ্চারা মাঠে গেলে ভয় পেতে পারে।  এমনকি ভয়ের কারণে শিশুদের জ্বরও হতে পারে।




  পরিশেষে বলা যায় যে এর আগে কৃষকের জন্য এত উপকারী একটি বস্তু ছিল। ইদানীং এই কাক খুব কমই দেখা যায়।  তবে এটাকে আগের মতই মাঠে ব্যবহার করলে খুব উপকার হবে।


তাহলে বুঝুন কাকতাড়ুয়া বা স্ক্যারক্রো কৃষিতে বিশেষ করে বাংলাদেশে কী কী উপকার পাওয়া যায়

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন