করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট, ২০২০ ইং পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এই সময়ে দেশের সব রকমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম আল হোসেন বলেছেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
কর্মদিবস বিবেচনায় নিয়ে সিলেবাস সংক্ষেপ করা হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি কাজ শুরু করেছে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করা হবে।
তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১৫ আগস্টে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৬ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দিবস পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়) মো. শফিউল আরিফ বলেন, মন্ত্রিপারষদের নির্দেশনা পেয়েছি। আজ বৈঠক রয়েছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর বিদ্যালয়সহ সংশ্লষ্টদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জাতীয় শোক দিবস পালনের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবস-২০২০ পালন করতে হবে।
আগামী ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৪তম শাহাদত বার্ষিকীতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গম্ভীর পরিবেশে সমগ্র বাংলাদেশে ও প্রবাসে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, মন্ত্রণালয়-বিভাগ, অধিদফতর ও সংস্থা জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করবে।
অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে
ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মেডি্যোল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রঙ্কণ প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন