বিসিএস পরীক্ষার হল |
৪১ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বা এমসিকিউ প্রস্তুতি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি কর্মকমিশন তথা পিএসসি। গত ৩ মার্চ,২০২১ ইং স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি গতকাল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া এবং পরীক্ষায় সবার সার্বিক সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিএসসি।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪১ তম বিসিএস পরীক্ষা-২০১৯ এর বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী,
আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রিলিমিনারি টেস্ট বা এমসিকিউ টাইপ টেস্টে বইপুস্তুক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সদৃশ্য কোনও ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগসহ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা নিষেধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিসিএস পরীক্ষা হলের গেটঃ-
৪১ তম বিসিএস পরীক্ষার হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেট্রনিক ডিভাইস ও নিষিদ্ধসামগ্রী তল্লাসির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষার দিন উল্লেখিত নিষিদ্ধজিনিসপত্র সঙ্গে না আনার জন্য সব পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে।
পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের কানের উপর কোনও প্রকার আবরণ রাখা যাবে না। কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনও ধরনের হেয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্র পূর্বেই কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
পরীক্ষার্থীদের শাস্তিযোগ্য অপরাধঃ-
৪১ তম বিসিএস পরীক্ষার হলে কোনও পরীক্ষার্থীর নিকট বর্ণিত নিষিদ্ধজিনিসপত্র পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কতৃক বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা বিধিমালা-২০১৪ অনুযায়ী বিধিভঙ্গের কারণে পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের অংশ নেওয়া সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
পরীক্ষায় নিষিদ্ধজিনিসপত্র না রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পিএসসি।
পিএসসি বরাতে জানা যায়, আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ৪১ তম সাধারণ বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
৪১ তম বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা চার লাখ ৭৫ হাজার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নতুন কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪১ তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিঃ-
সবধরণের ক্যাডারে দুই হাজার ১৬৬ শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে ৪১ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত নভেম্বর, ২০১৯ সালে।
৫ ডিসেম্বর,২০১৯ ইং থেকে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়। শেষ হয় ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারী মাসে।
প্রার্থীদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে ৩২৩ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২ জন।
প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জন, সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৩ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
ঐ প্রিলিমিনারি টেস্টে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে পরীক্ষা হবে সময় থাকবে ২ ঘণ্টা।
প্রতি সঠিক প্রশ্নের উত্তরে ১ নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
কিন্তু ভুল উত্তর দিলে ০.০৫ নম্বর কাটা যাবে তাদের মোট নম্বা থেকে।
বিসিএস তথ্যাবলীঃ-
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সংক্ষেপ্তে বিসিএস নামে সর্বাধিক পরিচিতি হল বাংলাদেশ সরকারের সিভিল সার্ভিস।
এর পূর্ব নাম সেন্ট্রাল সুপারিয়র সার্ভিস অফ পাকিস্তান থেকে উৎপত্তি হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নামে অধ্যাদেশ জারি করার পর পরিচিত হয়।
বেসামরিক আমলাতন্ত্রের এই অংশটি একটি উপনিবেশিক উত্তরাধিকার।
ব্রিটিশরা ভারতীয় সিভিল সার্ভিস বা আইসিএস এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শাসন করত এবং আইসিএসের বেশিরভাগ কর্মকর্তা ব্রিটিশ ছিলেন।
পূর্ব ইতিহাসঃ-
এটি প্রারম্ভিক বিংশ শতাব্দীতে ছিল যে ভারতীয়রাও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করে এবং বেশিরভাগ ভারতীয়রা আইসিএস-তে এটি নির্মাণ করে।
১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজনে 'সেন্ট্রাল সুপেরিয়র সার্ভিসেস' শব্দটিকে পাকিস্তানে ব্যবহার করা হতো এবং সর্ব-পাকিস্তান সার্ভিসের ধারণা অব্যাহত ছিল।
বিসিএস ক্যাডারসমূহঃ-
বর্তমান ১৪ টি সাধারণ ও ১২ টি পেশাগত/কারিগরি ক্যাডারসহ সর্বমোট ২৬ টি ক্যাডার রয়েছে।
সাধারণ ক্যাডারঃ-
√ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (আনসার)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (নিরীক্ষা ও হিসাব)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সমবায়)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (শুল্ক ও আবগারি)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা)
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ডাক)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর)।
√বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য)।
প্রফেশনাল ক্যাডারঃ-
√বিসিএস (সড়ক ও জনপথ)।
√বিসিএস (গণপূর্ত)।
√বিসিএস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল)।
√বিসিএস (বন)।
√বিসিএস (স্বাস্থ্য)।
√বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল)।
√বিসিএস (পশুসম্পদ)।
√বিসিএস (মৎস্য)।
√বিসিএস (পরিসংখ্যান)।
√বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা)।
√বিসিএস (কৃষি)।
√বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)।
শিক্ষা সম্পর্কে আরো কিছু পোস্টঃ-
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ইএফটি প্রাথমিক ধারণা ফরম পুরণ ও নির্দেশনা।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২০ ফলাফল ও পুনঃমুল্যায়নের আবেন।
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ও অন্যান্যদের সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস।
উপসংহারঃ-
অবশেষে বলা যায় যে দেশের প্রথম শ্রেণীর অভিজাত পদীয় কর্মসংস্থান পাওয়ার লক্ষ্য সবার।কিন্তু সবার ভাগ্যে এই সোনার হরিণটি লাফিয়ে লাফিয়ে আসে না।
এটি আনতে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম সাধনা,নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন